1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
Title :
দূষণের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল পরিবেশ অধিদপ্তর বনানীতে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, চার আসামি কারাগারে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিচারকদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির মতবিনিময় নওগাঁয় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি আ.লীগের মিথ্যা ইতিহাসের মুখোশ খুলে দিতে হবে: মঈন খান এতদিন দেখে দেখে পড়তে দাঁত ভেঙে যাওয়ার মতো লোকগুলো এমপি হয়েছিল বলছেন প্রধান উপদেষ্টা বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরোনো সমস্যা ফিরবে ডিএমপিতে চালু হলো অনলাইনে জিডি, যেভাবে করবেন বীরগঞ্জে “আমাদের ক্লিনিকে” প্রসূতির মৃত্যুতে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ! ফের লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, বিপাকে ভোক্তারা

পিলখানা ট্রাজেডিতে বদলে যাওয়া জীবন ১৬ বছরের লড়াই বাবার, ছেলে মুক্ত হলেও মুখটা দেখা হলো না

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের নেংটিহারা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। স্থানীয় হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে বিডিআর বর্তমানে বডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) যোগ দেন। তার মা-বাবাও সেদিন স্বস্তির হাসি হেসেছিলেন। কিন্তু ছেলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার ২৬ দিনের মাথায় ঢাকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রবিউলের বাবা-মায়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলার আসামি হন রবিউল। সেই মামলায় তার সাজা হয়। তবে তার বাবা আব্দুর রহমানের বিশ্বাস ছিল যেহেতু ছেলে নির্দোষ, সে একদিন মুক্তি পাবেই। জমি-জায়গা বিক্রি করে ছেলের মুক্তির জন্য আদালতের চক্কর কেটেছেন দীর্ঘ দিন। এক সময় ছেলের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

অবশেষে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলায় ২৫০ জনের জামিন মঞ্জুর করেন কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১। ২৫০ জনের মধ্যে রবিউল ইসলামও রয়েছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কারামুক্তি পেয়েছেন রবিউল। তাকে এক পলক দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তার স্বজনরা। কিন্তু যে বাবা দীর্ঘ ১৬ বছর ছেলের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন তিনি আর নেই। গত ৩ মাস আগে মারা গেছেন। ছেলের জন্য লড়াই করলেও আদুরের রবিউলকে শেষবারের মতো দেখে যেতে পারলেন না আব্দুর রহমান।

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রশিক্ষণ শেষ করে যোগ দেন পিলখানায় বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদর দপ্তরে। ২৬ দিনের মাথায় ঘটে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা। ওই ঘটনার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন রবিউল। প্রথমে একটি মামলায় ৭ বছর সাজাভোগ করে বের হন। তার কিছুদিন পর বিস্ফোরক আইনের আরেকটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। আগামীকাল শুক্রবার সকালে বাড়ি ফেরার কথা রয়েছে সাবেক এই বিডিআর জোয়ানের। তার বাড়ি ফেরার আনন্দে আত্মহারা পরিবার-আত্মীয়স্বজন ও গ্রামের লোকজন।

রবিউলের বড় ভাই শাহাজাহান আলী বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়ায়ের পর আজ বেলা সাড়ে ১১টায় আমার ভাই কারাবাস থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভাইকে কাছে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। চাকরি পাওয়ার পর বাবা ও মা খুব খুশি হয়েছিল। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই সব খুশি ম্লান হয়ে যায়। উপার্জন করে রবিউল পরিবারে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করার কথা ছিল। কিন্তু হয়েছিল সেটার উল্টো। রবিউল কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা খাওয়া খরচ দিতে হতো। কিছুদিন পর পর কাপড়-চোপড় দেওয়া, তার পিছনে খরচ করতে গিয়ে আমাদের প্রায় সব শেষ। আমার ভাইয়ের জীবনটা জেলেই কেটে গেল।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে আমার ভাইকে পুনরায় চাকরিতে পুনবর্হাল, একই সঙ্গে দীর্ঘদিন বিনা অপরাধে কারাগারে থাকা এবং তার পেছনে খরচ করতে গিয়ে তার পরিবার যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

রবিউলের চাচা রেজাউল করিম বলেন, ছেলের জন্য নানা দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে রবিউলের বাবা আব্দুর রহমান গত অক্টোবর মাসে মারা গেছেন। রবিউলের মা সালেহা খাতুন এখনও অসুস্থ, বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাবা বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট