1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ন
Title :
মেয়েকে দা দিয়ে কুপিয়ে পুকুরে ফেলে দিলেন বাবা! নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির প্রচারণায় জীবনের সক্রিয় কিছু উপদেষ্টার শেষ দেখতে চান সারজিস সিলেটে ব্যবসায়ীর ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই কালিয়াকৈর নৌকা ডুবি নিহতের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহামেদ আমতলীতে এক নারীসহ ৩ বিকাশ প্রত্যারক গ্রেপ্তার আমতলীতে বিএনপি’র মিছিলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরন, আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামে নদীর স্রোতে ভেসে আসছে গাছের গুড়ি চিলমারীতে চোরাইকৃত ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার- ৫জন কুড়িগ্রাম সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত

চায়ের দোকান সামলেও মেডিকেলে চান্স, রিফাতের স্বপ্ন এখন কার্ডিওলজি

  • Update Time : বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫

বাবার সঙ্গে চায়ের দোকান সামলেও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন মুন্সীগঞ্জের মো. রিফাত বেপারী।

তিনি মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের মজিদপুর এলাকার মো. ইউনুস বেপারীর ছেলে। ইউনুস বেপারী কেয়াইন কাউয়ামারা বাজারের একজন চা বিক্রেতা।

রিফাত সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। সে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ৩২৩তম স্থান অর্জন করেছেন।

মো. রিফাত বলেন, ভবিষ্যতে আমি কার্ডিওলজি নিয়ে পড়তে চাই। অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার থেকে পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ ছিল আমার। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবাকে সহযোগিতা করেছি, দোকানে বাবার সঙ্গে কাজ করেছি। এতে আমার কখনো খারাপ লাগেনি। শুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলাম। অভাবের কারণে নিজ গ্রামের শুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করি। এরপর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি হয়ে ২০২৪ সালে আবার জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করি। অর্থের অভাবে অন্য সহপাঠীদের মতো কোচিং করতে পারিনি। কিন্তু পড়াশোনা থেকে সরে যাইনি।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক অনন্ত চক্রবর্তী ও অধির রঞ্জন মন্ডল বলেন, রিফাত খুবই মেধাবী একজন শিক্ষার্থী। সে মেডিকেলে ভর্তির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। সম্পূর্ণ নিজের মেধা ও চেষ্টায় রিফাত মেডিকেলে পড়ার চান্স পেয়েছে। রিফাত তার বাবার সঙ্গে চা ও ভাজাপুড়িও বিক্রি করেছে। সে পরিবারের ছোট ছেলে। তার আরও এক ভাই রয়েছে। তাদের পরিবারে খুবই অস্বচ্ছল।

শুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরষদের সাবেক সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী বলেন, রিফাত উপজেলার শুলপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পায়। সে কখনো প্রাইভেট পড়েনি। এই মেডিকেলে পরীক্ষা দিয়ে সে মেধার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। সে মজিদপুর তথা আমাদের গর্ব। রিফাত মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় এলাকার সবাই আনন্দিত।

রিফাতের বাবা ইউনুস বেপারী বলেন, ছোট টিনের ঘর ও ভিটা ছাড়া কিছুই নেই আমাদের, অভাবের সংসার। আমার রিফাত জীবনে কোনো দিন কোনো কিছুর জন্য বায়না করেনি। ছোটবেলা থেকেই ছেলেটা খুবই ভালো, পড়তে বলা লাগেনি। চায়ের দোকানে এসে কাজ করেছে আবার পড়াশোনাও করেছে। দোকানে বসে পুরি-সমুচা বানিয়েছে, বিক্রি করেছে। রিফাত ডাক্তারিতে চান্স পাওয়ায় আমরা খুব গর্বিত। তিনি ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

রিফাতের মা ঝর্না বেগম বলেন, আমার বড় ছেলেকে অভাবের কারণে পড়াতে পারিনি। ছোট ছেলে অভাবের মধ্যেই পড়ালেখা করেছে। ছেলে বড় ডাক্তার হোক। আমি খুবই আনন্দিত।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, মো. রিফাত বেপারী হচ্ছে সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় রিফাতকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এছাড়া তার মেডিকেলে পড়তে সবসময় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে। রিফাতের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট