সাভার থানাধীন হেমায়েতপুরে ব্যবসায়ি রমজান আলিকে অপহরণ করে বিদ্যুতের পিলারের সাথে বেধে মোঃ মোশারফ হোসেন (মোশা) তার ব্যবহৃত অবৈধ পিস্তল দিয়ে ডান পায়ের হাটুতে গুলি করে এবং লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মেরে গুরুতর জখম করে মুক্তিপণ এক লক্ষ টাকা ও মুঠোফোন হাতিয়ে নেয়। অতঃপর ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা।
সুত্রে জানা যায় সাভার মডেল থানাধীন হেমায়েতপুরে মোঃ রমজান আলী খান (৪৪) দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজ চক্র রমজান আলীর নিকট চাঁদা দাবী করিয়া আসতেছিল। চাঁদা না দিলে রমজান আলীর পরিনাম ভালো হবে না মর্মে হুমকি ধামকি প্রদান করে চাঁদাবাজচক্র। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মোশারফ হোসেন (মোসা) ৪০, পিতা-মৃত শাহজাহান বেপারী, সাং-হেমায়েতপুর, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকা, পরস্পর যোগসাজশে গত ৩১ডিঃ ২০২৪ তারিখ রাতে রমজান আলীকে অপহরন করে হেমায়েতপুর গ্রীন সিটি নামক জায়গার তাদের অফিসে নিয়ে যায়। তার নিকট চাঁদা দাবী করিতে থাকে। রমজান আলী উক্ত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলে চাঁদাবাজরা তাকে বিদ্যুতের পিলারের সাথে বেধে মোঃ মোশারফ হোসেন (মোশা) তার ব্যবহৃত অবৈধ পিস্তল দিয়ে রমজান আলীর ডান পায়ের হাটুতে গুলি করে এবং অন্যান্যরা তাকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মেরে গুরুতর জখম করে। রমজান আলির কাছে থাকা ১,০০,০০০/- (একলক্ষ) টাকা এবং তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন নিয়া যায়। পরবর্তীতে ০১ জানুয়ারি ২৫ রাত ০৩.০০ ঘটিকার সময় রমজান আলীকে মুমূর্ষ অবস্থায় হেমায়েতপুর ভাঙ্গা ব্রিজের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অতঃপর মোঃ রমজান আলী খান (৪৪), পিতা-মৃত হোসেন আলী খান, সাং-হেমায়েতপুর হোসেন আলী খানের বাড়ী, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকা এনাম মেডিকেলে চিকিৎসারত আছেন। উক্ত ঘটনায় নেতৃত্ব প্রদানকারী এবং অবৈধ অস্ত্রধারী মোঃ মোশারফ হোসেন (মোশা) কে ডিবি (উত্তর), ঢাকা জেলা পুলিশ কর্তৃক অদ্য ০৪জানুয়ারি ২৫ খ্রি. ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা এলাকা হতে সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেন।
Leave a Reply