1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন

আসাদ সমর্থকদের অতর্কিত হামলায় সিরিয়ায় ১৪ পুলিশ নিহত

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিজ্ঞাপন

সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সমর্থকদের অতর্কিত হামলায় দেশটির ১৪ পুলিশ নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ভোরে সিরিয়ার নতুন প্রশাসন, এই ঘটনাকে ব্যাপক অস্থিরতা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

সিরিয়ার নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিগ্রামে বলেছেন, হামলায় আরো ১০ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যে কেউ সিরিয়ার নিরাপত্তা নষ্ট করার বা এর নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করার সাহস করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হোমস শহরে গভীররাতে কারফিউ জারি করেছিল পুলিশ। সংখ্যালঘু আলাওয়াইট ও শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিক্ষোভ মিছিলেন কারণে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।  এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেনি রয়টার্স।

স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন, আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক নির্যাতন ও প্রশাসনিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় এই বিক্ষোভের আয়োজন হয়ে থাকতে পারে।  বাশার আল-আসাদের পরিবারও এই সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন।

কিছু বাসিন্দা রয়টার্সকে বলেছেন, এই বিক্ষোভ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিরুদ্ধে। এসব সম্প্রদায় যা দীর্ঘকাল ধরে আসাদের অনুগত হিসাবে দেখা হয়। গত ৮ ডিসেম্বর সুন্নি ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের কাছে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়।

বিজ্ঞাপন

কারফিউ জারির বিষয়ে হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে অন্যপাশ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।  রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত কেবল কারফিউ জারি রাখা হয়।

বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের অগ্রাভিযানের মুখে বাশার আল-আসাদের অবিশ্বাস্য পরাজয় বিস্মিত করেছে আন্তর্জাতিক সব মহলকে। সরকারবিরোধী বিদ্রোহীরা রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিলে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় উড়াল দেন।

এইচটিএস একসময় সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে এখন গোষ্ঠীটি বলছে, তারা এখন নিজেদের বদলে ফেলেছে এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চায়। তাদের মূল লক্ষ্য এখন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

সিরিয়ার সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের আশঙ্কা, বিদ্রোহীদের অধীনে দেশে কট্টরপন্থি ইসলামি সরকার গঠিত হতে পারে। তবে তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে নতুন সরকার। সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য তারা একাধিকবার প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট