তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা-পালটা হামলায় বিএনপি নেতাসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার কটকস্থল এলাহী গ্যাস পাম্পের সামনে ও বার্থী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় যুবদল সমর্থক নয়ন তালুকদারকে (২২) ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ও বার্থী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম ফকিরকে (৪০) গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম ফকির অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার কটকস্থল বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান যোগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বার্থী বাজারের উদ্দেশে রওনা দেই। পথিমধ্যে অপর একটি ভ্যান বেপরোয়া গতিতে আমাদের ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যায়।

তিনি বলেন, পরে বার্থী বাজারে পৌঁছে ওই চালককে বেপরোয়া গতিতে ভ্যান চালানোর বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে আমি ওই চালককে একটি থাপ্পড় দেই। এসময় বার্থী ইউনিয়ন যুবদলেরর সহ-সভাপতি কাইয়ুম খান ও তার ৮/১০ সহযোগী ওই ভ্যান চালকের পক্ষ নিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আহত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বার্থী ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি কাইয়ুম খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রহিম ফকিরের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নাই। রহিমের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক ওইদিন রাতে এলাহী গ্যাস পাম্পের সামনে হামলা চালিয়ে আমার মোটর সাইকেল চালক পান্নু মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় পান্নুকে উদ্ধারের জন্য পাম্পের দোকানদার যুবদল সমর্থক নয়ন তালুকদার(২২) ও মান্নান তালুকদার (২৮) এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় নয়নকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার দুপুরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।