জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রাজধানীর পুরান ঢাকায় হাবিবুর রহমান হল ও বানী ভবনের নির্মাণ প্রকল্প এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
শনিবার (৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘৮ম আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে (ছাত্র) চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রকল্প অনুমোদন পেলেই নির্মাণকাজ শুরু হবে। এখন কেবল একটি সভা বাকি রয়েছে। শীঘ্রই তা হবে। প্রকল্পটি ইউজিসি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ঘুরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে একনেকে (একটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) পাঠানো হয়। এজন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়।
উপাচার্য বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর আমাদের প্রকল্প যত দ্রুত অগ্রসর হয়েছে, দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমন হয়নি। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমরা আশাবাদী, খুব শিগগিরই তারা আবাসন সুবিধা পাবে। তবে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য কিছু ভূমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে, যার সমাধান না হলে আমরা সামনে এগোতে পারছি না। আসলে আমাদের হাতে কিছু নেই।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. সাবিনা শারমিন বলেন, খেলাধুলা, বিতর্ক, আবৃত্তি—সবখানেই ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের কৃতিত্ব রয়েছে। এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে তাদের পদচারণা নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক ভবনে লিফট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায়। ইউজিসি চেয়ারম্যান একবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। ভবনের বড় সিঁড়ি দেখে তিনি ওপরে ওঠেননি। এক গর্ভবতী নারী শিক্ষিকার ক্ষেত্রেও এমন সমস্যা হতে পারে। আমরা কোনো অপচয় করছি না, বরং প্রয়োজনীয়তার জায়গা থেকেই লিফট বসানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলেরা মাঠে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে বলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত রাখতে ক্রীড়া বাজেট বাড়ানো জরুরি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আমাদের পরিবারের অংশ। এখানে বাইরের কোনো অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ নেই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান, অর্থ পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বিলাল হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক সহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply