1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
Title :
বনানীতে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, চার আসামি কারাগারে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিচারকদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির মতবিনিময় নওগাঁয় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি আ.লীগের মিথ্যা ইতিহাসের মুখোশ খুলে দিতে হবে: মঈন খান এতদিন দেখে দেখে পড়তে দাঁত ভেঙে যাওয়ার মতো লোকগুলো এমপি হয়েছিল বলছেন প্রধান উপদেষ্টা বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরোনো সমস্যা ফিরবে ডিএমপিতে চালু হলো অনলাইনে জিডি, যেভাবে করবেন বীরগঞ্জে “আমাদের ক্লিনিকে” প্রসূতির মৃত্যুতে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ! ফের লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, বিপাকে ভোক্তারা ড. ইউনূসের ‘মিষ্টি কথার’ সমালোচনা করে যা বললেন রাশেদ খান

রোগ প্রতিরোধের টনিক কাঁঠালের বিচি

  • Update Time : রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪

টনিক যেভাবে কাজ করে, কাঁঠালের বিচিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সেভাবেই কাজ করে। তাই কাঁঠালের বিচিকে উত্তম এক টনিক বলাই যায়। কাঁঠালের বিচির সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে এর স্টার্চ এবং কাঁঠালের বিচির স্টার্চের ৩০ শতাংশই হচ্ছে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ। এই রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ আমাদের পাকস্থলীতে যে অনুজীব থাকে অন্ত্রে যে অনুজীব থাকে এই অনুজীবের খাবার।

কাঁঠালের বিচির ডায়েটারি ফাইবার এবং এর রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ক্ষুধাকে কমিয়ে দেয়, ক্ষুধা নিবারণ করে । যদিও এটা একটু মিষ্টি মিষ্টি তারপরেও এটা ব্লাডের সুগার বা রক্তের শর্করার পরিমাণ কমায়। মানে ব্লাড সুগার কমায় এবং হজম ব্যবস্থাকে, হজম প্রক্রিয়াকে সুসংহত করে। অর্থাৎ পেট ভালো রাখে। ইনসুলিনের যে সেনসিটিভিটি এটার উন্নতি করে।

কাঁঠালের বিচি যদি নিয়মিত খান তো এটা কোষ্ঠকাঠিন্যেও মানে কোষ্ঠ পরিষ্কারক হিসেবে চমৎকার কাজ করে। এটা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কাঁঠালের বিচিতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে এবং যে কারণে ডায়রিয়া এবং গ্যাসের সমস্যা যাদের তাদের জন্য আয়ুর্বেদের চিকিৎসাতে কাঁঠালের বিচির গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়।

এখনকার যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং নিরীক্ষা তাতে দেখা যাচ্ছে যে কাঁঠালের বিচির উপাদানগুলো ডায়রিয়া-আমাশয় এবং খাদ্য ও পানিবাহিত পেটের পীড়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন বর্ষাকাল, এ সময় খাদ্য এবং পানীয় ঘটিত পেটের পীড়া এখন বেশি হচ্ছে। এ সময় কাঁঠালের বিচি খুব উপকারি। যাদের হাইপার টেনশন রয়েছে অর্থাৎ হাই ব্লাড প্রেশার রয়েছে তাদের জন্য চমৎকার খাবার কাঁঠালের বিচি।

কাঁঠালের বিচিতে ম্যাগনেসিয়াম আছে, ক্যালসিয়াম আছে এবং ফসফরাস আছে এবং আরো খনিজ উপাদান রয়েছে । যেটা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হাড়ের ঘনত্ব এবং সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঁঠালের বিচিতে উচ্চমাত্রার দ্রবণীয় প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে দেয়। যে কারণে কাঁঠালের বিচি ভাজা খেলে মানসিক চাপ কমে, মনটা ফরফুরে লাগে। কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্লাবিন এবং থায়ামিন রয়েছে। এই দুই ভিটামিন বি এর ফলে শরীরে শক্তি সঞ্চারের পাশাপাশি নার্ভাস সিস্টেম এবং মস্তিষ্কের রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে।

আর ভিটামিন এ-ও আছে প্রচুর পরিমাণে। যেটা দৃষ্টিশক্তি উন্নতির পাশাপাশি চোখের একাধিক সমস্যা, রেটিনারও কিছু সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে লিগনান, স্যাপোনিন এবং আইসোপ্লোবিন। এই এন্টি-অক্সিডেন্টগুলো শরীরের অভ্যন্তরে যে কোনো প্রদাহ, যে কোনো ইনফ্লামেশনের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ ডিএনএ-র ডেমেজও রিপেয়ার করতে পারে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে কাঁঠালের বিচিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ লেসিথিন পাওয়া গেছে যা এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম মূল্যায়নের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

এখনকার যে গবেষণা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে তারা মনে করছেন, কাঁঠালের বিচির এই যে রেজিস্ট্যান্স স্টার্চ এটা পেটে গিয়ে ফারমেনটেড হয়ে শর্ট চেইন ফ্যাটি এসিড তৈরি করে। এবং এই ফ্যাটি এসিড কোলনে রক্ত চলাচল বাড়ায় ।ফলে কোলনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় এবং ক্যান্সারের টিউমার যদি থাকে ক্যান্সারের সেল যদি থাকে এই ক্যান্সারের সেলের বিরুদ্ধে ফাইট করে এই শর্ট চেইন ফ্যাটি এসিড।

এই স্টার্চ আবার প্রোবায়োটিক। প্রোবায়োটিক হওয়ার কারণে পেটের যে অনুজীবগুলো রয়েছে প্রয়োজনীয় অনুজীবগুলোর শক্তি সংহত করে, অনুজীবের যে সাম্রাজ্য এই সাম্রাজ্যকে সুসংহত করে। পেটের সুস্থ অনুজীব শুধু স্টমাক ইনটেস্টাইন এবং কোলনেরই কল্যাণ করে না বরং পেটের সাথে ভেগাস নার্ভের মাধ্যমে আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম মস্তিষ্কের সাথে এটার যোগাযোগ রয়েছে ভেগাস নার্ভের মাধ্যমে। ভেগাস নার্ভের মাধ্যমে যেহেতু ব্রেনের সাথে সংযুক্ত এজন্যে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে কাঁঠালের বিচি পরিমাণ মতো পুরো সিজন যদি কেউ খান, তাহলে দেহের শুধু রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার শুধু উন্নতি হবে না, সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমও সুস্থ থাকবে, সবল থাকবে। নার্ভাস সিস্টেম যত সুস্থ সবল থাকে একজন মানুষের কর্মক্ষমতা এবং প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব তত চাঙা থাকে।

কাঁঠালের বিচি সংরক্ষণ করবেন কীভাবে?

সিদ্ধ করে অনেক দিন রেখে দিতে পারেন ডিপ ফ্রিজে। যখন প্রয়োজন ভর্তা করে খেতে পারেন। সবজির বিকল্প হিসেবে কাঁঠালের বিচি ব্যবহার করা যায়।

কাঁঠালের বিচি আধা টালা দিয়ে মানে আধা ভাজা করে এটাকে গুঁড়ো করে চা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন যে কোনো মৌসুমে। গুঁড়ো করে বৈয়মে রেখে দিলে এটায় ফাঙ্গাস ধরবে না এবং এটা চায়ের মতো করে খেতে পারবেন।

কাঁঠালের বিচি হচ্ছে ন্যাচারাল টনিক বা ন্যাচারাল ড্রিংক পাওয়ার বলতে পারেন। ন্যাচারাল পাওয়ার ড্রিংক যদি কিছু থাকে সেটা হচ্ছে কাঁঠালের বিচি গুঁড়ো করে সেটাকে খাওয়া। এটি দুধে মিশিয়েও খেতে পারেন। তাই কাঁঠালের মৌসুমে কাঁঠাল খান এবং বিচি সংগ্রহ করুন। এই বিচি যত দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস করবেন তত ভালো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট