[caption id="attachment_5621" align="alignright" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
আট লাখ টাকাসহ রাজশাহী থেকে আশরাফুল ইসলাম (৫১) নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন। পরিবারের দাবি, তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানায় অপহরণের পৃথক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে দুই থানা পুলিশের ঠেলাঠেলিতে ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও কোনো মামলা বা জিডি হয়নি।
জানা গেছে, অপহরণের শিকার আশরাফুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বিশরশিয়া গ্রামে। বাবার নাম মোখলেসুর রহমান। আশরাফুল ইসলাম গরু কেনা-বেচার ব্যবসা করেন।
[caption id="attachment_5993" align="alignleft" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
আশরাফুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ অভিযোগে জানান, তার বাবা চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ছোট গরু এনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করেন। গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে আট লাখ টাকাসহ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাত ৯টার দিকে আশরাফুল ইসলাম ফোন করে ছেলে আব্দুল্লাহকে জানান, তিনি রাজশাহী বাস টার্মিনালে অবস্থান করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি ছাড়বে। পরে কথা হবে বলে ফোন রেখে দেন। এরপর ছেলে আব্দুল্লাহ রাত ১১টার দিকে তার বাবাকে ফোন করলে নম্বরটি বন্ধ পান। ওই রাতে পরে আরও কয়েকবার ফোন দিলেও আশরাফুলের ফোনটি বন্ধ পান তার পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরা মনে করেছিলেন ফোন বন্ধ রেখে আশরাফুল হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছেন। পরদিন সকালে মোকামে পৌঁছে হয়তো ফোন দেবেন।
কিন্তু পরদিন ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে আশরাফুলের ফোন থেকে ছেলে আব্দুল্লাহর মোবাইলে কল আসে। এ সময় আশরাফুল ইসলাম ছেলে আব্দুল্লাহকে জানান, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। সব টাকা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাকে ব্যাপক মারধর করা হচ্ছে। তিনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে জানেন না। কথাগুলো বলার পরপরই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই ঘটনার পর পরিবারের লোকেরা আশরাফুলের সঙ্গে ব্যবসা করা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নরেন্দ্রপুর এলাকার কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারাও আশরাফুলের কোন সন্ধ্যান বা খোঁজ দিতে পারেননি।
[caption id="attachment_6002" align="alignright" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর অপহৃত আশরাফুলের ছেলে আব্দুল্লাহ কয়েকজন প্রতিবেশিকে সঙ্গে নিয়ে অভিযোগ দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানায় যান। কিন্তু শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে জানায়, ঘটনাস্থল রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকা। ফলে অভিযোগ বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ দিতে হবে। পরে ছেলে লোকজন সঙ্গে নিয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সেখানকার পুলিশ তাদেরকে পুনরায় শিবগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে বলেন। বুধবার রাতে ছেলে মো. আব্দুল্লাহ আবার শিবগঞ্জ থানায় যান। বৃহস্পতিবার সকালেও পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে আরেকবার যান শিবগঞ্জ থানায়।
[caption id="attachment_6099" align="alignleft" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
অভিযোগ গ্রহণ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, আশরাফুল ইসলাম কোথায় গাড়িতে উঠেছিলেন তা তার ছেলে স্পষ্টভাবে বলতে পারছেন না। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সব গাড়ি রাজশাহীর ওপর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। ঠিক কোথা থেকে আশরাফুল ইসলাম মিসিং হয়েছেন সেটা জানা দরকার। অভিযোগ শিবগঞ্জ থানাতে দিলেই হলে ভাল হবে।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, আশরাফুল ইসলাম রাজশাহীতে গিয়ে পরিবারেরর সদস্যদের জানিয়েছেন তিনি সেখান থেকে গাড়িতে উঠেছেন। সেক্ষেত্রে ঘটনাস্থল আরএমপির বোয়ালিয়া থানা হয়। এ কারণে আমরা বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
[caption id="attachment_6106" align="alignright" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
দুই থানার কোথাও অভিযোগ গ্রহণ না করার বিষয়টি জানিয়ে আশরাফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ বলেন, বোয়ালিয়া ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গ্রহণ করেননি। তবে দুই থানার পুলিশকে আমরা অভিযোগ কপি দিয়েছি। তারা নিয়েছেন কিন্তু কোন জিডি বা মামলা রেকর্ড করেননি। তবে বৃহস্পতিবার সকালে শিবগঞ্জ থানায় গেলে পুলিশ আমাদের বলেছেন, তারা আশরাফুলের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছেন। আশরাফুলের সঙ্গে ওই রাতে কারা কারা ফোনে কথা বলেছেন সেই নম্বরগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত বাবার কোন খোঁজ পাই নি। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১