1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ন

স্ত্রীকে তালাক দিতে না চাওয়ায় আ.লীগ কর্মীকে যুবদল নেতাদের মারধর

  • Update Time : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিজ্ঞাপন

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ কর্মী তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে এলাকাছাড়া করতে রাজি না হওয়ায় যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর চন্দ্রিমা থানার হাজরাপুকুর মহল্লায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

যুবদলের পক্ষ থেকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, ওই নারী ফেসবুকে জয় বাংলা স্লোগান দেন। তাই তার স্বামীকে সতর্ক করা হচ্ছিল। তখনই দুএকজন দু’চারটা কিল-ঘুসি মেরে দিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবেই মীমাংসা করে নেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী দম্পতি হলেন- নগরীর চন্দ্রিমা থানার হাজরাপুকুর মহল্লার বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও বীনা মজুমদার। মিজানুর রহমান ব্যবসায়ী। বীনা গৃহিণী। বীনা ২০১৩ ও ২০২৩ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছিলেন।

শনিবার সন্ধ্যায় পাড়ার মাঠে শাহমখদুম থানা যুবদলের সাবেক সদস্য মো. সনিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী মিজানুর রহমানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এ সময় মহল্লার সেলুনে যাচ্ছিলেন মিজানুর। তখনই তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ যায় সেখানে।

ঘটনার পর মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন আমাকে দেখে ওরা বলছে যে, ‘স্ত্রীর কামাই খায়’। আমি এর প্রতিবাদ করে বলি, আমি সারাদিন কাজ করি। স্ত্রীর কামাই কেন খাব? তখন আমাকে বলে, ‘তুই যদি তোর বউকে না ছেড়ে দিস, এখান থেকে না পাঠাস, তাহলে খবর আছে।’ কেন ছাড়ব প্রশ্ন তুললে তারা আমাকে গালি দেয় এবং মারধর শুরু করে। মারধরে হাত, মাথা, কান ও কপালে আঘাত পেয়েছেন বলে জানান মিজানুর।

বীনা মজুমদার বলেন, কিছু দিন আগে ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ফেসবুকে একটি পোস্ট করি। সেখানে জয় বাংলা লিখি। এ জন্য সনি আমাকে ফোন করে বলে, এসব লেখা যাবে না। তা না হলে খুব খারাপ হবে। আমি বলি, দল যখন ক্ষমতায় ছিল আমি তো খারাপ কারও সঙ্গে কিছু করিনি। এরপরেও যদি আমার খারাপ হয় তাহলে হবে। তারপর ফোন রেখে দেয়।

তিনি বলেন, আজকে আমার স্বামী সেলুনে যাচ্ছিল। ওরা ধরে বলে, ‘তোর বউ আওয়ামী লীগ করে, তুই তোর বউয়ের কামায় খাস। তুই তোর বউকে ছেড়ে দিবি।’ আমার স্বামী কোন দল করে না। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চিৎকার শুনে আমি গেলাম। সনি ছেলেটা কয়দিন আগেও আমাকে আম্মা বলে ডাকত। তাকে বলি, কী ব্যাপার সনি? এসব কি? সে বলে, কোনো আওয়ামী লীগের গান চলবে না। আমি বলি, আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী লীগ করব, মরে গেলেও করব। দল ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক। এরপরই আমার স্বামীর গায়ে হাত তোলে।

বিজ্ঞাপন

বীনা বলেন, এখনও কিন্তু বিএনপি আসেনি। সমন্বয়কেরা বলেছিল, সমান অধিকার। এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে পার্থক্য কেন আসলো? দল ক্ষমতায় থাকলেও আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমার সঙ্গে এমন হবে কেন? আমার দোষ একটাই আমি আওয়ামী লীগ করি। এ জন্য আমার স্বামীকে চাপ দিচ্ছে যেন আমাকে ছেড়ে দেয়। এটা কেমন কথা? দলের সঙ্গে সংসারের কি সম্পর্ক? যারা অন্যায় করেছে তারা শাস্তি পাবে। যাদের জন্য আওয়ামী লীগের এই অধঃপতন, তাদের বিচার হোক। যারা অন্যায় করেনি তাদের কেন হেনস্থা? এটা কেমন ন্যায় বিচার?’ আমরা এখন আতঙ্কিত। আমরা নিরাপত্তা চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক যুবদল নেতা মো. সনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বীনা মজুমদার বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন। এ জন্য তার স্বামীকে বলছিলাম। তখনই কয়েকটা ছেলে দুই-একটা কিল-ঘুসি মেরে দিয়েছে। এটা আমরা মীমাংসা করে ফেলেছি। তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, সন্ধ্যায় ঝামেলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। স্থানীয় লোকজনই এটা মীমাংসা করে নিয়েছেন। তাই পুলিশ ফিরে এসেছে। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করলে তদন্ত করে দেখা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট