নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’— এমনটাই জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজম। এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে সেই সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
ফারুক-ই-আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বা মুজিব নগর সরকার এবং সেই সরকারের স্বীকৃত বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধ্যাদেশ (সংশোধন) গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, শেখ মুজিবসহ জাতীয় চার নেতা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন না, তারা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা- এমন তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ নিয়ে গতকাল থেকেই ব্যাপক সমালোচনা চলে সামাজিক মাধ্যমসহ সবখানে। অবশেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা সেই বিতর্কের ইতি টানলেন।
Leave a Reply