ক্রীড়া ডেস্ক: টেস্টে আগের ১৩ ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল কেবল ৪০। অর্থাৎ, ফিফটি পাননি ৭ টেস্টে। আজ প্রিয় প্রতিপক্ষের সঙ্গেই মিস্টার ডিফেন্ডেবল ফর্মে ফিরলেন। যাকে পরিণত করেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। নাজমুল হোসেন শান্ত’র পর চলমান প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি উপহার দিলেন মুশফিক। সবমিলিয়ে ফরম্যাটটিতে এটি তার ১২তম সেঞ্চুরি।
গত আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর খেলা ৭ টেস্টের ১৩ ইনিংসে ফিফটিও পাননি মুশফিক। এই ১৩ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ ছিল ৪০।
মঙ্গলবার গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। দলীয় ৪৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর শান্ত ও মুশফিকের ব্যাটিংয়ে ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ২০০ রানের জুটি গড়লেন তারা। টেস্টে চতুর্থ উইকেটে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় ২০০ ছাড়ানো জুটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ২৮০ রান। ১২৯ রান করে শান্ত আর ১০০ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিক।
এদিন সাদমান ইসলামের সাথে ইনিংসের সূচনা করতে নামেন এনামুল হক বিজয়। ১০ বল মোকাবেলা করেও বিজয় অবশ্য রানের খাতা খুলতে পারেননি। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৫ রানে।
দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন সাদমান ও মুমিনুল। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটিটি ৩৪ রানের চেয়ে বেশি লম্বা হাতে পারেনি। সাদমানের উইকেট পতনের মাধ্যমে জুটি ভাঙে। ৫৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাদমান।
তবে সাদমান বিদায় নেওয়ার পর থামতে হয় মুমিনুলকেও। ওয়ানডে মেজাজে ৩৩ বলে ২৯ রান করে দলীয় ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক। তবে শান্ত ও মুশফিকের ব্যাটিং নৈপুণ্য বড় সংগ্রহের আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে।
Leave a Reply