জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রুমিন ফারহানা হলেন বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি আওয়ামী আমলে সব ধরনের সুবিধা নিয়েছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহসহ নেতাকর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ পণ্য যাদেরকে মনে হয় তাদের মধ্যে রুমিন ফারহানা অন্যতম। উনি সবসময় বলে থাকেন, বিগত ১৫ বছর নাকি উনি অনেক ভালো ছিলেন। উনি অবশ্যই ভালো থাকবেন। কারণ উনি যত ধরনের আওয়ামী সুবিধা রয়েছে, সব ধরনের সুবিধা নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে নির্বাচন কমিশন যে ভূমিকা রেখেছে আমরা সেই ভূমিকাকে সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ করে এসেছি। আমরা পুলিশকে দেখেছি এখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আমরা দেখলাম পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের কীভাবে কমিশনে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের কীভাবে ফ্রি এন্ট্রি দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কতিপয় পার্টির ‘পার্টি অফিস’ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রুমিন ফারহানা এখানে বলেছেন যে মূলত বিএনপির লোকজন এখানে গুন্ডাপান্ডা নিয়ে ঢুকেছে, তারা তাকে ধাক্কা দিয়েছেন। এমন অভিযোগ তিনি করেছেন, এনপিসির বিরুদ্ধে করেননি। সাংবাদিকদের এ কথার জবাবে এনসিপির মুখ্য সংগঠক বলেন, আমরা যদি রুমিন ফারহানার কথাই ধরে নিই, নিজ দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত কমান্ড নিশ্চিত করা হয় না। মানে বিএনপি নেতাকর্মীরাই, উনার কথা মতে, উনাকে সেখানে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আমরা বলব, বিএনপি এত বড় একটা সংগঠন, সেই সংগঠনে আমরা চাই সংগঠনের শৃঙ্খলা ফিরে আসুক।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বলেন, আজ আমি যখন শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য আসি আমাকে এখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখানে গুন্ডাপান্ডা দিয়ে এরকম এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমাকে পেছন থেকে বারবার টেনে হিঁচড়ে গেট থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারপর একটা পর্যায়ে আমি গেটের ভেতরে প্রবেশ করি। ১২টার আগে আমি প্রবেশ করি। আমি দেখি এখানে রুমিন ফারহানার লোকজন। তারা শুনানিতে তাদের যুক্ত উপস্থাপন করেন। একটা পর্যায়ে যখন আমার সময় আসে, আমি শুনানিতে দাঁড়াই। দাঁড়ানোর পর রুমিন ফারহানা তেড়ে গিয়ে আমাকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। আমাকে কথা বলতে দেননি এবং তার যে গুন্ডাপান্ডা ছিল তারা আমাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্মমভাবে মারধর করে। তারা টার্গেট করে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এখানে মারধর করতে চেয়েছে। যাতে আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন না করি, আমরা যাতে কথা না বলি।
তিনি বলেন, আমি এ হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। যদি বিচার করতে ব্যর্থ হয় আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছি।
Leave a Reply