ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ও বায়েক ইউনিয়নে বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা। রাতের আঁধারে কেটে নেওয়া হচ্ছে পাহাড় ও টিলা ভূমি। রোববার ভোররাতে উপজেলার বায়েক এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে মো. সাইমন মিয়া (২৫) নামের এক শ্রমিক মারা গেছেন।
নিহত সাইমন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সুলতান মিয়ার ছেলে।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে পাহাড় রয়েছে ৩৭৫ একর । কী পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়েছে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে। তবে স্থানীয়দের ধারণা ৫০ একরেরও বেশি পরিমাণ পাহাড় কেটে নেওয়া হয়েছে। বায়েক এলাকায় দুই বছর আগে পাহাড় কাটতে গিয়ে এক শ্রমিক মারা গেছেন। বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নে পাহাড় কাটার দায়ে বেশ কয়েকটি মামলা এখনো চলমান রয়েছে। এসব মামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দিয়েও পাহাড় কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
কসবা উপজেলা সদর থেকে ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরে বায়েক ও গোপীনাথপুর ইউনিয়ন। রাতের আঁধারে অধিক মুনাফার আশায় এক শ্রেণির লোক পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ওহাব মাস্টারের ছেলে খাইরুল ইসলাম বাবুর ওই ইউনিয়নের ধোপাখলা মৌজায় পাহাড় রয়েছে। পাহাড়টি থেকে দীর্ঘদিন ধরে রাতের আধারে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। ওই পাহাড় মালিকের নামে অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। রোববার ভোররাতে ওই পাহাড় থেকে মাটি কাটার সময় শ্রমিক মো. সাইমন মিয়া আহত হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটিচাপা পড়ে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন শ্রমিক মারা গেছেন। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, পাহাড় মালিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে একটি নিয়মিত মামলা করা আছে। ওই পাহাড় থেকে আবারো মাটি কাটতে গিয়ে এক শ্রমিক মারা গেছেন। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।
Leave a Reply