গতকাল ১৪ আগষ্ট’২০২৫ বিকেলে খানসামা রোডস্থ কামরুজ্জামান বাবু, রুবেল রানাসহ পার্টনারশিপে পরিচালিত আমাদের ক্লিনিকে ডাক্তার ছাড়াই অদক্ষ নার্স এবং আয়া দ্বারা সন্তান প্রসবকালে আমিনা আক্তার তিথি (৩০) নামীয় প্রসূতি নিহত হয়েছে।
নবজাতক পুত্র সন্তান বেঁচে আছে। নিহতের স্বামী অন্তর আলী, বাড়ী পাল্টাপুর ইউনিয়নের ভোগডোমা গ্রামে।
সংবাদ পেয়ে তথ্য সংগ্রহে স্থানীয় সাংবাদিক, গোয়েন্দা পুলিশ ডিএসবি নুর আমিন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক এসআই ফরিদ বিন সোহেল ঐ ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় একজন অসুস্থ আয়া সুফিয়া এবং নার্স অন্তরা দাস ছাড়া সবাই পলাতক।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ক্লিনিক সমুহে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার, ভুল চিকিৎসা ও দায়িত্বে অবহেলার কারনে একের পর এক প্রসূতি মৃত্যু।
অদক্ষ ডাক্তার দিয়ে সিজার করানোর ফলে ইনফেকশন জনিত কারনে সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসায় লাখ লাখ টাকা ক্ষতি এবং অমানুষিক হয়রানীর ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভুক্তভোগি পরিবারসহ সমগ্র বীরগঞ্জবাসী।
ক্রমান্বয়ে ফুঁসে উঠছে আ’ম জনতা, হতে পারে তীব্র আন্দোলন।
ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল মনে করেন স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসিনতা, আইন প্রয়োগে দূর্বলতা-নমনীয় পদ্ধতি অবলম্বন এসব অপরাধ প্রবনতাকে উৎসাহিত করছে।
অপরাধীরা গুরুতর অপরাধ করে, সিজারের নামে ও ভুল চিকিৎসায় মানুষ হত্যার পর মোটা অংকের টাকার বিনিময় অহরহ পার পাচ্ছে।
কিছুদিন পুর্বে একতা ক্লিনিকে প্রসুতি মৃত্যুর ঘটনায় উভয় পক্ষ আপোষ মিমাংসা করলেও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে আদালত স্বপ্রনোদিত ভাবে মিস কেস করেন। বর্তমানে ক্লিনিকটি সীলগালা করা আছে।
অপর দিকে গত ২৪ জুন’২০২৫ তারিখে বেলাল হোসেন পরিচালিত “বীরগঞ্জ ক্লিনিকে” সুমাইয়া আক্তার নামের এক প্রসুতিকে অদক্ষ ডাক্তার দিয়ে সিজার করানোর ফলে ইনফেকশন জনিত কারণে রোগী সংকটনাপন্ন হলে তাকে ২৯ জুন’২৫ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে তাকে অপারশন করে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়।
১৭ দিন আইসিইউতে রাখার পর বর্তমানে মেডিকেলের তৃতীয় তলার ৩১৮ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসা বাবদ এ যাবত প্রায় ২ মাসে ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে মর্মে রোগীর স্বামী সোহেল রানা অভিযোগ করেছেন।
গতকাল রাতে নিহত আমিনা আক্তার তিথির লাশ তার বাবা বেলাল আকন্দের বাড়ী জিনেশ্বরী দেউনিয়ার মোড় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর চলে দেন দরবার।
নিহতের ভাসুর জেনার আলী জানান আজ ১৫ আগষ্ট’২৫ সকালে সেখানকার কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।
নিহত তিথি ব্যপারে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর জানান নরমাল ডেলিভারির পর রোগী মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা গেছে। কাওরো কোন অভিযোগ না থাকায় তারা লাশ দাফন করেছে
Leave a Reply