ফাঁসির দড়ি ছাড়া হাসিনার দেশে ফেরার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার।
তিনি বলেন, যারা মনে করছেন শেখ হাসিনা দ্রুতই দেশে ফিরবে, তাদের জন্য বলতে চাই- শেখ হাসিনা শুধু একটি কারণেই বাংলাদেশে ফিরতে পারেন তা হলো ফাঁসির দড়ি গলায় ঝোলাতে।
শুক্রবার (২ মে) বিকেল ৪টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মাহিন বলেন, যাদের হাতে হাজারো সাধারণ মানুষের রক্ত, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ গণহত্যা ও স্বৈরশাসনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার বিচার এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, যেদিন শেখ হাসিনা আমাদের ‘রাজাকার’বলেছিলেন, সেদিন থেকেই অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল। জাতিকে অপমান করার পরিণতি ইতিহাসে কখনো ভালো হয়নি। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সংবিধানের নামে যদি বাঙালি জাতীয়তাবাদকে মুছে ফেলা হয়, তবে মানবিক অধিকার বলে কিছু থাকবে না।
মাহিন সরকার ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক বিপ্লব’ বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, এই বিপ্লব কেবল বাংলাদেশের নয়, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষদের প্রতিও এক ধরনের আশার বার্তা।
অতীত ইতিহাসের দৃষ্টান্ত টেনে তিনি বলেন, ইতিহাস বলে—ইব্রাহিম (আ.) এর কাছে নমরুদের, মুসা (আ.)-এর কাছে ফেরাউনের পতন হয়েছিল। এবার ছাত্র-জনতার হাতেই পতন হয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার।
এর আগে একই দিন বেলা ৩টায় বায়তুল মোকাররম গেটে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে এনসিপি। দলটির নেতারা অভিযোগ করেন, গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার ওপর ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা রায় দিয়েছেন—আওয়ামী লীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না। দলটির নেতাদের মাঠে নামতে দেওয়া হবে না, প্রতিহত করা হবে।
বিক্ষোভে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন এনসিপির নেতাকর্মীরা। উত্তরের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা থেকে বিক্ষোভকারীরা এতে যোগ দেন।
Leave a Reply