স্টাফ রিপোর্টারঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার দক্ষিণ উলাইল, মৌজার ফোর্ডনগর ধল্লা এলাকায় আমেনা বেগমের জমি ঝমর আলী গংরা জবর দখল করে ইমারত নির্মাণ করতেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত বিষয় সিংগাইর থানার একটি অভিযোগ দায়ের করে কোট একটি মামলা করেন মামলা নং১৩৯/২৩ ভুক্তভোগী আমেনা বেগম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার দক্ষিণ উলাইল, মৌজার ফোর্ডনগর ধল্লা এলাকায় আমেনা বেগমের জমি ঝমর আলী (৫৫), পিতা- মৃত ওসমান আলী, আঃ মালেক (৪৫), পিতা- আঃ খালেক, আঃ ছালাম (৪০), পিতা- মৃত রুস্তম আলী, আনোয়ার হােসেন (৬৫), গংরা জবর দখল করে গত ০৮ মার্চ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত অজ্ঞাত ৫/৬ জন বে- আইনী ভাবে দেশীয় অন্ত্র সন্রে সজ্জিত হইয়া জমি জবর দখল করে ইমারত নির্মাণ করতেছে।
উক্ত বিষয় ভুক্তভোগী আমেনা বেগমে বলেন তফসিল বর্ণিত ভূমি আমি বিগত ০৪ আগষ্ট ১৯৮৮ তারিখ হতে ৩১৬৪ নং জেলা-মানিকগঞ্জ, থানা-সিংগাইর, দক্ষিণ উলাইল মৌজাস্থিত এসএ ৩৫নং আরএস ১৭৩নং খতিয়ান ভুক্ত এসএ ২০৩, আরএস ৪০৪নং দাগে ২০ শতাংশ জমি দাবীকৃত দলিল মূলে মালিক হইয়া দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার সকলের জ্ঞাতসারে শান্তিপূর্ণভাবে ভােগদখল করিয়া আসিতেছি। দীর্ঘ দিন ধরে এই চক্রটি আমার উক্ত জমির মালিক বলিয়া দাবী করিয়া জবর দখলের পায়তারা করিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮ মার্চ সকালে দেশীয় অন্ত্র সন্রে সজ্জিত হইয়া আমার জমি জবর দখল করে। আমি বাঁধা দিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে হত্যার হুমকি দিলে আমি ভয়ে চলে যাই। আমার বাড়ি কোন পুরুষ লোক না থাকায় এই সুযোগে তারা আমার জমি জবর দখল করে ইমারত নির্মাণ করতেছে। আমি কোন উপায় অন্ত না পেয়ে থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করি।
উক্ত বিষয় বিবাদী আঃ মালেক বলে এই সম্পত্তির মালিক আমরা পৌতৃক সুতো। আমরা ঝমর আলর কাছে জমি বিক্রি করেছি। তার কাছে আমেনা বেগমের দলিলকৃত জমি কি মুলে বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে সে কোন সদ উত্তর দিতে পারেননি। থানার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বললেও থানা বা আইনকে তোয়াক্কা না করে বীরদর্পে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত বিষয় গত শনিবার ধল্লা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই আবুল হোসেন বাদি বিবাদিদের ডেকে মিমাংশা করার চেষ্টা করলে বিবাদিগন দেখাতে না পারায় পরবর্তী তারিখে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন এবং কাজ বন্ধ রাখতে বলে। কোন কিছু তোয়াক্কা না করে বীরদর্পে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সালিসি বিচারের সময় সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকায় বিবাদীরা সাংবাদিক সোহেলকে পুলিশ ফাড়ির ভিতরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শারীরিক নির্যাতন সহ চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেয়। উক্ত বিষয় আমেনা বেগমের জমি জবর দখল থেকে উদ্ধারের জন্য দারে দারে ঘুরে বেড়াচ্ছ। আমেনা বেগম সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।
Leave a Reply