অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ৬ কর্মকর্তা ও দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুলনায় মেডিকেল কোচিং সেন্টার থ্রি ডক্টরসের পরিচালক ডা. মো. ইউনুচ উজ্জামান খান তারিমসহ ৫ ডাক্তারকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তারের পর শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মামলার বাদী তারিম ঢাকা পোস্টকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি থানা আদালতে মামলার আবেদন করি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনস সিআইডি কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা, সিআইডির এসআই মো. মেহেদী হাসান, এসআই মো. আতিকুর রহমান, এসআই মো. লালবুর রহমান, এসআই মিল্টন দেবনাথ, এসআই শিব্বির আহমেদ, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ইমরান ও মো. তানভীর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২১ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আসামিরা ডা. তারিমের কাছে চাঁদা দাবি করেন এবং বলে চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট ভোর ৬টার দিকে ডা. তারিমসহ ৬ জন চিকিৎসককে সিআইডি গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ইলেকট্রিক শক ও হত্যার হুমকি দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করে ভিডিও ধারণ করে টিভি চ্যানেলে প্রচার করে।
এতে আরও জানা যায়, আসামিরা বেআইনিভাবে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ৭ লাখ এবং ২১ সেপ্টেম্বর ৩ লাখ টাকাসহ মোট ১০ লাখ টাকা নিয়ে নেয় ডা. তারিমের পরিবারের কাছ থেকে। এছাড়া রিমান্ডে নিয়ে ডা. তারিমকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
এ ঘটনায় মেডিকেল কোচিং সেন্টার থ্রি ডক্টরসের কর্ণধার ডা. মো. ইউনুচ উজ্জামান খাঁন তারিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে খুলনা মেডিকেল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. তারিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৫ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁস ও মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
Leave a Reply