সিনিয়র রিপোর্টার, মো: সোহেল মিয়া: ঢাকার নবাবগঞ্জের মাঝিরকান্দা এলাকার একটি ক্ষেতের পাশ থেকে বিএনপির যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন (৫০) নামে এক নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঈদিন সকাল ৫টার দিকে তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ দেখতে পান।
জানা যায়, লাস পাওয়ার এক ঘণ্টা আগে পুলিশ তাকে এক বছরের সাজাসংক্রান্ত চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে আসে। কিন্তু তাকে না পেয়ে ফিরে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভোর চারটার দিকে নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশ চেক জালিয়াতির মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে যায়। দরজা না খোলার ফলে তারা ফিরে যায়। তাকেই ফজরের নামাজ জাওয়ার উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়ার কথা ছিল বলেই পরিবার ধারণা করে। পরিবার পরে জানতে পারে, তিনি একটি ধানক্ষেতের পাশে পড়ে আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসক তার মৃত আবিষ্কার করেন পরিবার ও স্থানীয়রা বেশ উদ্বিগ্ন।
তার বড় মেয়ে জানান, তার মুখে ও চোখের কোণে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যার ভিত্তিতে তারা স্পষ্ট করে জানায়: ‘বাবাকে কেউ হত্যা করেছে কি না তা এখনো বলা যাচ্ছে না’ । নিহতের ভাই বলেন, ‘পুলিশ তাকে ধরতে এসেছিল, তার পর কেন ওখানে পড়ে মারা গেল? এটা আমরা বুঝতে পারছি না।’ আর তার স্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না আমার স্বামী কীভাবে মারা গেল, আল্লাহর কাছে বিচার চাই।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। মৃতের বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে একটি চেক জালিয়াতির মামলায় এক বছরের সাজা ও গ্রেপ্তারের পরোয়ানা ছিল ।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনা নিয়ে ‘হত্যা’ উল্লেখ করে বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়েছে। যুবদলের নেতাকর্মীরা নিহতের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপি নেতা মেহনাজ মান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘আমজাদ দলের একজন ত্যাগী নেতা, তাঁর এভাবে রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ আমরা খুঁজে বের করতে চাই’ সংক্ষেপে ঘটনার প্রধান দিক:ভোর চারটায় চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার অভিযানের জন্য পুলিশ অভিযানে যায়
ঘটনাস্থল থেকে এক ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের খেতে মরদেহ পাওয়া যায় ফৌজদারি মামলা ও সন্দেহজনক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অপেক্ষমান পরিবার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ‘হত্যার’ ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করছেন, কিন্তু পুলিশ এখনও মৃত্যুর প্রকৃতি নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি—ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অপেক্ষা করছে।
Leave a Reply