1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

দোয়া মাহফিল গিয়ে ঠেকল সড়ক অবরোধে, অধ্যক্ষ প্রত্যাহার

  • Update Time : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বগুড়ায় ইয়কুবিয়া স্কুল এন্ড কলেজে বেতন বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কথা বলায় এক অভিভাবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে ওই অভিভাবককে মারধর করেন ভলেন্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করা কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এই ঘটনায় দায়ী শিক্ষার্থীদের বিচার ও অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। গতকাল দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ চলে সন্ধ্যা পৌনে ৮টা পর্যন্ত।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সরকারি পরিপত্রে মাসিক বেতন ও সেশন ফি কমানোর আদেশ দেওয়া হয়। তবে ইয়াকুবিয়া স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ মাসিক বেতন আগের মতোই ৫০০ টাকা ও সেশন ফি ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ১০৫ টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। রোববার স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক দোয়া মাহফিলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক নারী অভিভাবক এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ওই সময় সেখানে উপস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে তর্কে জড়ানো নারী অভিভাবককে মারধর করেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে শহরের জলেশ্বরীতলা সড়ক আটকে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগপত্রও জমা দেন এবং সেখান থেকে তারা আবারও স্কুল মোড়ে এসে অবস্থান নেন। এ সময় অধ্যক্ষ মো. শাহাদৎ হোসেন বিদ্যালয়েই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন বলেন, বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলতে চাওয়া অভিভাবককে মেরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই আন্টি এখন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। উনিও আমাদের সহপাঠীর মা, যে কোনো মায়ের গায়ে আঘাত মেনে নেবে না সন্তানরা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

 

এ সময় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সেগুপ্তা সাহা স্নেহা বলেন, ভলান্টিয়ার নামক শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কথা মতো এক অভিভাবকের গায়ে হাত তোলে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ধাক্কাধাক্কি এবং ভয়-ভীতি দেখায়। আমরা ভলান্টিয়ার চাই না। বিদ্যালয়ের সবাই আমরা ছাত্র, সবার সমান অধিকার।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরাফাত হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শাহাদাৎ হোসেনকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক হলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অধ্যক্ষ ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা মঞ্জুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, একদল শিক্ষার্থী বেতন বৃদ্ধির জন্য প্রতিবাদ করেন। তাদের সাথে অভিভাবকরাও একত্রিত হয়ে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় আমিসহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইসিটি স্যারও উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন, স্যার চিঠিটি জেলা প্রশাসক বরাবর পৌঁছে দেবেন।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা অভিভাবকদের বক্তব্য শুনলাম, শিক্ষার্থীদের বক্তব্যও শুনলাম। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি হবে উনারা তদন্ত করে বিষয়টির সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্রী-অভিভাবক এটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে নিরাপদে পৌঁছে দেই। তখন ছাত্রী অভিভাবকরা আস্তে আস্তে চলে যান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট