মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ তিন খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি বাঁশগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও তার ছোট ভাই রাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে তিন খুনসহ বোমা বিস্ফোরণ ও মারামারিসহ ২০টি পৃথক মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃত ইউপি চেয়ারম্যান সুমন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং তার ভাই রাজন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকায় সুমন বাহিনী নামে তাদের একটি বাহিনী রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার এবং সহযোগী সিরাজ চৌকিদার নিহত হন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজনের পা কেটে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা ও বোমা বিস্ফোরণ, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তবে তিন খুনের ঘটনায় উচ্চ আদালতে সাময়িক জামিনে রয়েছেন তারা। কিন্তু অন্য মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, বাঁশগাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে সাতটি ও তার ছোট ভাই রাজনের বিরুদ্ধে ১৩টি পৃথক মামলা রয়েছে। ফলে এরা মাদারীপুর আদালতে কোনো একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা কোন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে, সেটা প্রয়োজনীয় সব মামলা যাচাই করে আদালতে পাঠানো হবে। তবে এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় কোনো না কোনো মামলায় গ্রেপ্তার হবেই।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের কালকিনিতে চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে প্রধান আসামি করে পৃথক মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীদের পরিবার। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাকি এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মোস্তাফিজুর রহমান সুমন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য বলে জানা যায়। ‘সুমন বাহিনী’ নামে তার এলাকায় একটি বাহিনী রয়েছে।
Leave a Reply