উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের দাপট বেড়েই চলছে। কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। মধ্যরাত থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। পড়ছে শিশির বিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে মাঠ-ঘাট ঢাকা পড়েছে। বেলা বাড়লেও নেই সূর্যের উত্তাপ।
বুধবার সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা পারদ বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলন করতে আসা এক পাথর শ্রমিক বলেন, মানুষ শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হয় না। অথচ আমরা বরফ গলা নদীতে নেমেছি পাথর উত্তোলন করার জন্য। এই শীতের কারণে তেমন কাজকর্ম করতে পারছি না। আয় কমে গেছে। কেউ আমাদের খোঁজও নেয় না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়লেও ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের এ জেলা। বুধবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, প্রতিবছর এখানে শীত আগেভাগেই শুরু হয়। এবারও শীতের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষ তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরে আরও শীতবস্ত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রতিটি শীতার্ত মানুষ যেন শীতবস্ত্র পায় সেটি নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১