জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামালপুর-১ গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ শেষে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার রাত নয়টার দিকে আগুন প্রজ্জ্বলন করে গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাপেক্স কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গ্যাসের মজুদ পর্যালোচনার জন্য ডিএসপি-১ পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ ও পরিক্ষা শেষে এই কূপে কি পরিমাণ গ্যাস রয়েছে তা জানা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
রোববার (১ জুন) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক। এর আগে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন ধরিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ।
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রাথমিক পরীক্ষায় গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে নমুনা পরীক্ষার পর জানা যাবে গ্যাসের পরিমাণ। কূপটিতে ৪০০ বিসিএফ গ্যাস রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। যদি কাঙ্খিত গ্যাস পাওয়া যায় তাহলে এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
বাপেক্স কর্মকর্তারা আরও জানান, খনন প্রকল্পে ২ হাজার ৮০০ মিটারের মধ্যে ২ হাজার ৬০০ মিটার খনন করে কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। খননকৃত স্তরে মাটির নিচে ১৪শ ৪১ মিটার ও ৪৫ মিটারে গ্যাসের স্তর রয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়কটি স্তরে গ্যাস রয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে গ্যাসের চাপ ছিল ৭.২ মিলিয়ন (পিএসআই)।
জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ইতোমধ্যে ২ হাজার ৬০০ মিটার অনুসন্ধান কূপের খনন কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হয়েছে। কি পরিমাণ গ্যাস আছে বা আরও গ্যাস আছে কিনা এজন্য পরীক্ষার কাজ চলমান আছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে জামালপুরের মাদারগঞ্জের তারতাপাড়া এলাকায় গ্যাসের উপস্থিতি পায় বাপেক্স। পরে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সিসমিক উপাত্ত ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ক্লোজ গ্রিড সিসমিক সার্ভে হয়। বাপেক্স সেই উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ২৪ জানুয়ারি জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম শুরু করে।
Leave a Reply