1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন

খোসাসহ শসা খেলে যে উপকার পাবেন

  • Update Time : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ শসা কম বেশি প্রায় সবারই বেশ পছন্দের। কিন্তু শসা খাওয়ার সময় আমরা বড় একটা ভুল করে ফেলি। আসলে আমাদের মধ্যে অধিকাংশই খোসা ছাড়িয়ে শসা খাই। আর এটাই নাকি বিরাট বড় ভুল বলে দাবি করছেন একদল বিশেষজ্ঞ।

তাদের কথায়, শসার খোসায় রয়েছে একাধিক উপকারী ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই খোসা সহ শসা খেলে যে একাধিক ছোট-বড় অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাবে তা বলাই বাহুল্য।

খোসাসহ শসা খাওয়ার একাধিক গুণ —

শরীরে পানিশূন্যতা কমায়: পানি আপনার শরীরকে কার্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বর্জ্য ও পুষ্টি পরিবহনের মতো প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকে। শরীরে পানির সঠিক মাত্রা শারীরিক কর্মক্ষমতা থেকে বিপাক পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি পানি বা অন্যান্য তরল যেমন জুস বা চা দ্বারা আপনার তরল চাহিদার পূরণ করেন তখন আপনি পানি বহনের জন্য কতটুকু পানি পান করবেন, তার একটি মাত্রা থাকে। কিছু মানুষ তাদের মোট পানি গ্রহণের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিভিন্ন খাবার থেকে পেতে পারে। যেহেতু শসা প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি দ্বারা গঠিত, তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর এবং প্রাত্যহিক চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না করেও দিনে একটি বা দুটি শসা খেয়ে প্রতিদিনের তরল চাহিদা মেটানো সম্ভব।

চোখের সমস্যা দূর করে: দারুণ এ বিষয়টি সম্পর্কে খুব কম মানুষই অবগত। শসার খোসা হলো ভিটামিন-এ-এর (বেটা-ক্যারটিন) বড় উৎস। চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ ভীষণ জরুরি। তবে শসার খোসা ফেলে দিলে ভিটামিন-এ আর অবশিষ্ট থাকে না।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা কমায়: বিব্রতকর এ সমস্যার ক্ষেত্রে ত্রাতা হিসেবে কাজ করবে খোসাসহ শসা। শসার খোসাতে রয়েছে অদ্রবণীয় আঁশ। অন্যদিকে শসার ভেতরের নরম অংশে থাকে দ্রবণীয় আঁশ। উভয় প্রকৃতির আঁশ মলকে নরম করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে চমৎকার কার্যকরি।

মেদ ও চর্বি কমাবে: হুটহাট ক্ষুধাভাব খুব জ্বালায়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার খাওয়ার পরিবর্তে কয়েক টুকরা খোসাসহ শসা খেয়ে ফেলতে হবে। খোসাসহ শসায় কোনো ক্যালরি নেই বললেই চলে। ক্যালরি কম হলেও ক্ষুধার প্রকোপ কমাতে শসা বেশ কার্যকর। তাই ক্ষুধা পেলেই নিশ্চিন্তে খেয়ে নিতে হবে ছোট একটি খোসাসহ শসা।

ভিটামিন ‘কে’-এর অন্যতম উৎস: রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন ‘কে’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা পাওয়া যাবে শসার খোসাতে। এছাড়াও ভিটামিন ‘কে’ হাড়ের পুষ্টিতে, মগজের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও নির্দিষ্ট ধরণের কিছু ক্যানসারর প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে: ত্বকের জন্য ভিটামিন-সি অনন্য। ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কোলাজেন উৎপাদনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। শসাতে নয়, শসার খোসায় প্রচুর পরিমাণে উপকারী এ উপাদান বিদ্যমান থাকে। তাই খোসাসহ শসা খেলে ত্বকের বয়সের ছাপকে দূরে রাখা সম্ভব হবে।

তবে খেয়াল রাখতে হবে, খাওয়ার পূর্বে শসাকে অবশ্যই এক ঘণ্টা লবণ-পানির মিশ্রনে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে শসার খোসায় লেগে থাকা জীবাণু, রাসায়নিক ও ফরমালিন দূর হয়ে যাবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট