1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় থানা ঘেরাও, মহাসড়ক অবরোধ

  • Update Time : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

শেরপুরের নকলায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানা ঘেরাও ও নকলা-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। 

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামে কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আশিক মিয়াকে (২০) গ্রেপ্তারের পর তার বিচারের দাবিতে ওই অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

 

রোববার বিকেলে নকলা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এসএম মাসুম ও রাইয়্যান আল মাহাদি অনন্তের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা, এলাকাবাসী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আশিককে বিচারের জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামে এবং নকলা থানা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

ওই সময় থানার ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ পুরো পুলিশ বাহিনী। ঘণ্টা দেড়েক পর বিক্ষোভকারীরা থানা ছেড়ে থানা ফটকের সামনে ঢাকা-শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় নকলা থানার সামনে ঢাকা-শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা সকল ধরনের যানবাহন।

 

স্লোগান দেওয়া হয়- ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রেপিস্টের আস্তানা, বাংলাদেশে থাকবে না’, ‘রেপিস্টের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই, দিতে হবে’।

খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নকলা থানায় আসেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল করিম। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খোরশেদুর রহমানসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা এবং নকলা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এসএম মাসুম, রাইয়্যান আল মাহাদি অন্তর ও ইমাম হাসান সাব্বিরকে নিয়ে ওসির কক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন।

 

প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলা বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম ধর্ষণ মামলার অপর আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আশ্বাস দিলে থানা থেকে বেরিয়ে যান নেতারা। পরে বেলা সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর করিম বলেন, কারও আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। ধর্ষণের বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। আশা করি আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট