জীবনযাপন ডেস্ক: শরীরের স্ট্যামিনা বাড়ানোর জন্য অনেকেই কলা খাওয়ার দিকে বেশি নজর দেন। কলা ঠিকই সেই প্রতিদান দেয়। এর মধ্যে আছে নানা পুষ্টিগুণ। তাই কলা খেলে শরীরে এনার্জি, পুষ্টি দুইই আসে। কিন্তু তারপরও কিছু মানুষের জন্য কলা বিপজ্জনক। চলুন জেনে নিই, কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ৪ ধরনের মানুষকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
১. ডায়াবেটিক রোগীরা: কলায় থাকে প্রাকৃতিক চিনি ও গ্লুকোজ, যা রক্তে দ্রুত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। বিশেষ করে পাকা কলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) তুলনামূলক বেশি থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসের রোগী, তাদের জন্য কলা খাওয়া সীমিত রাখা উচিত। অন্যথায় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
২. অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে: কলা শক্তি বাড়ালে ঠিকই, কিন্তু এর মধ্যে থাকে উচ্চ ক্যালরি। ওজন কমানোর জন্য যারা চেষ্টা করছেন, তাদের অতিরিক্ত কলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ বেশি ক্যালরি শরীরে মেদ জমায় এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে কলার পরিমাণ কমানো বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. কিডনির সমস্যা গ্রস্তরা: কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা স্বাভাবিক অবস্থায় শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু কিডনি যখন ঠিকমতো কাজ করে না, তখন অতিরিক্ত পটাশিয়াম রক্তে জমে গিয়ে হৃদস্পন্দনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কিডনির রোগীদের কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
৪. হজমে সমস্যায় ভোগা মানুষ: যাদের পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস, ফোলাভাব বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) আছে, তাদের জন্য কলা খাওয়া সমস্যা বাড়াতে পারে। কারণ কলায় থাকে ফার্মেন্টেবল কার্বোহাইড্রেট, যা অনেকের হজমে গ্যাস ও ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ ধরনের মানুষ কলা খাওয়ার আগে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।
কলা একদিকে যেমন শরীরের জন্য খুবই উপকারী, অন্যদিকে কিছু মানুষের জন্য তা হতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে কলার ব্যবহার নির্ধারণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি আপনার কোন উপরের উল্লেখিত সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১