গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত সিএনজি অটোরিকশাচালক জামাল মোল্লার লাশ কবর থেকে তোলা হলো। মৃত্যুর ৪ মাস ৫ দিন পর আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার হাটহাজারীর সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহার শারমিনের উপস্থিতিতে তার লাশ তোলা হয়।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিন সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানা সংলগ্ন উত্তর পাশের কাঁচাবাজারের গলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সিএনজি অটোরিকশাচালক জামাল মোল্লা (৪৮)। নিহত চালক জামাল মোল্লা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বায়েজিদ থানাধীন কুলগাঁও ট্যানারি বটতলি মাজার গেট এলাকার ছালে আহাম্মেদ প্রকাশ ফেঞ্জুর ছেলে।তিনি গত তিন বছর ধরে হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম দেওয়ান নগর আর্মি ফায়ার সেন্টার সংলগ্ন সন্দ্বীপপাড়া হাজীরতলীতে সরকারি পাহাড়ি টিলায় বসবাস করে আসছিল।
ছেলে মোহাম্মদ আল-আমিন (১৫) ও মেয়ে তানিয়া আক্তারের (১৭) জনক তিনি।লাশ তোলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক উনু মং মারমা।তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের দিন সন্ধ্যায় গুলিতে নিহত সিএনজি অটোরিকশাচালক জামাল মোল্লার স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট ৬৫ জনের নামে এবং ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে সিএনজি অটোরিকশাচালকের লাশ তোলা হয়।নিহতের ছেলে আল আমিন বলেন, সেদিন বিকালে তার বাবা তাদের নিয়ে বড় মেয়ের জন্য ছেলে দেখতে গিয়েছিলেন হাটাহাজারী পৌরসভার আব্বাছিয়ার পুল এলাকায়।
ছেলে আল আমিন বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আর্থিক সংকটে পড়ে আমাদের দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
Leave a Reply