আমরা বাংলাদেশ এলপিজি অপারেটরস এসোসিয়েশনের (এলওএবি) পক্ষ থেকে এলপিজির ওপর এই অতিরিক্ত কর আরোপ প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় ট্যারিফ মূল্যের ওপর মূসক কর্তনের নিয়ম প্রবর্তনের আহ্বান
এলপিজি একটি নিরাপদ এবং অপরিহার্য জ্বালানি হিসেবে বাংলাদেশে বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সারা দেশে এলপিজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত উল্লেখযোগ্য হারে ক্রমবর্ধমান রয়েছে। দেশের যে কোনো প্রান্তে সহজলভ্য হওয়ায় জ্বালানি হিসেবে এটা ভোক্তার অন্যতম পছন্দ। শুধু বাংলাদেশেই নয়, পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণে এলপিজি সারা বিশ্বব্যাপীই সচেতন জনগণের অন্যতম পছন্দসই জ্বালানিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যতীত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবেশবান্ধব এলপিজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রণোদনা দিচ্ছে সুলভে এলপিজি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এলপিজি অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে, যে কারণে হ্রাস পেয়েছে পরিবেশের জন্য অপরিহার্য গাছ নিধন এবং জ্বালানি কাঠের ব্যবহার। এলপিজির মতো এমন একটি পরিবেশবান্ধব নিরাপদ জ্বালানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর আরোপ ভোক্তার ক্রয়সীমার ক্ষেত্রে চরম আঘাত হেনেছে, যা এলপি গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে পুনরায় জ্বালানি গ্রাহককে কাঠখড়ি পোড়াতে উৎসাহিত করবে যা পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
এলপি গ্যাসের ক্ষেত্রে শুরুতে ট্যারিফ মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য ছিল, যার ফলে প্রতি ১২ কেজির ট্যারিফ ভ্যালু ধরা ছিল ৬০ টাকা এবং এর ওপর ১৫ শতাংশ হারে সর্বমোট ৯ টাকা মূসক একজন ভোক্তাকে পরিশোধ করতে হতো। পরবর্তীতে উৎপাদন/বোতলজাতকরণ পর্যায়ে ৫ শতাংশ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২ শতাংশ অর্থাৎ সর্বমোট ৭ শতাংশ মূসক আরোপ করা হয়- যা জ্বালানি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত করের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২ শতাংশ মূসক রহিত করে উৎপাদন/বোতলজাতকরণ পর্যায়ে ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে একজন ভোক্তাকে প্রতি ১২ কেজির ওপর সর্বমোট ৯৫ টাকা মূসক প্রদান করতে হচ্ছে যা তার পক্ষে কোনোমতেই বহনযোগ্য নয়। এছাড়াও বাংলাদেশের আসন্ন প্রাকৃতিক গ্যাস সংকট এবং এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতাসমূহ বিবেচনা করলে বিকল্প এবং অন্যতম পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে এলপিজিই একমাত্র বিবেচ্য।
আমরা বাংলাদেশ এলপিজি অপারেটরস এসোসিয়েশনের (এলওএবি) পক্ষ থেকে এলপিজির ওপর এই অতিরিক্ত কর আরোপ প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় ট্যারিফ মূল্যের ওপর মূসক কর্তনের নিয়ম প্রবর্তনের আহ্বান করছি- যা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে এলপিজির ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে। জ্বালানি গ্রাহক এবং কার্বন নিঃসরণ রোধের চলমান এই প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করার জন্য অতিসত্ত্বর ট্যারিফ মূল্যের প্রবর্তন করতে সরকারের নিকট দেশের সকল জ্বালানি গ্রাহকদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১