
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ায় কাতার আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার বেগম জিয়া দেশে ফেরার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছিলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য, তারা (আওয়ামী সরকার) তখন অনুমতি দেয়নি। স্বৈরাচারের পতনের পর চিকিৎসার জন্য তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) লন্ডনে যান। সেখানে তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়েছেন।’
শায়রুল বলেন, ‘দেশবাসীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আরও কৃতজ্ঞ কাতারের আমিরের প্রতি, যিনি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন।’
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।একই বিমানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তার দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
এদিকে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে নেতাকর্মীদের বাঁধভাঙা উল্লাসের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। পথে-পথে দলীয় নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়ে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছায় তাকে বহনকারী গাড়ি বহর।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির জানান, দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ ড. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য নেতারাও রয়েছেন।
এছাড়া খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে। বেগম জিয়া কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা। দেশে ফিরে আবারো বিএনপির নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন নেতাকর্মীরা।
এর আগে লন্ডন সময় সোমবার (৫ মে) দুপুরে তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে আসেন হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ১৭ বছর ধরে প্রবাসে অবস্থান করা বড় ছেলে তারেক রহমানের জন্য মা এবং স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে বিদায় দেওয়া ছিল আবেগের।
বিমানবন্দর এলাকায় তাদের গাড়ি পৌঁছালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে আসেন হাজার হাজার প্রবাসী নেতাকর্মী। স্লোগান দিয়ে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিদায়ী অভ্যর্ত্থনায় সিক্ত হন বেগম জিয়া। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের তারেক রহমানকে দেখে রাখতে বলেন বেগম জিয়া।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন তিনি।
লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা ও পরিবারের সান্নিধ্যে ৪ মাস কাটিয়ে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ ছাড়াও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য, যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এমএ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার এম আহমেদও দেশে ফিরেছেন।
Leave a Reply