1. shadhinsomoy.com@gmail.com : স্বাধীন সময় : স্বাধীন সময়
  2. info@www.shadhinsomoy.com : স্বাধীন সময় :
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন

একক ভিসায় বহির্গমন ছাড়পত্র চালুর দাবি

  • Update Time : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫

মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশে সিন্ডিকেট বন্ধ এবং সৌদিআরবে একক ভিসায় সত্যায়ন বিহীন বহির্গমন ছাড়পত্র চালুর দাবি জানিয়েছে বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বায়রার সাবেক সভাপতি এম. এ. এইচ. সেলিম। তিনি বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু ভূলনীতি ও কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী, লোভী, অপরাধী এবং ষড়যন্ত্রকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টরটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের আশ্রয়ে, প্রশ্রয়ে ও প্রত্যক্ষ সমর্থনে সিন্ডিকেট হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও তাদের কোনো বিচার করেনি।

এই বিচারহীনতার কারণে সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড আমিন, স্বপনেরা পুনরায় মালয়েশিয়াতে সিন্ডিকেট করে অভিবাসী কর্মী রপ্তানি করার চেষ্টা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে, দেশপ্রেমিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মকাণ্ডে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং মনে হচ্ছে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের প্রেতাত্মা এখনো মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির প্রতিটি টেবিলে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

আমরা শুনতে পাচ্ছি ঐ চিহ্নিত চক্রটি পুনরায় সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়াতে জনশক্তি রপ্তানি করার পাঁয়তারা করছে এবং তাদের নাকি আমাদের মন্ত্রণালয়ের কেউ কেউ সহযোগিতা ও করছেন। এবার যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিন্ডিকেটে মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে কর্মী রপ্তানির সুযোগ দেন, তাহলে তাদের সঙ্গে স্বৈরাচারী সরকারের পার্থক্য কোথায়।

আশাকরি সরকার সিন্ডিকেট ফাঁদে পা দিবেন না এবং বাজারটি সবার বৈধ রপ্তানিকারকদের জন্য উন্মুক্ত রাখবেন। যদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বা অন্য কোনো দেশে অভিবাসী কর্মী পাঠানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’

সৌদি আরবের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে এম. এ. এইচ. সেলিম বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মীদের বৃহত্তর শ্রমবাজার। বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ শ্রমিক এই দেশে কর্মরত। কিন্তু দূতাবাসের কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। বিগত অনেক বছর থেকে ২৫ জনের নিচে কোনো চাহিদা পত্রের সত্যায়নের প্রয়োজন ছিলো না।

কিন্তু এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিটা চাহিদা পত্র দূতাবাস থেকে সত্যায়ন করা বাধ্যতামূলক করে দেন। এতে করে হাজার কর্মী ও শত শত রপ্তানিকারক ভীষণ বেকায়দায় পড়ে যায়। সরকারের এই প্রজ্ঞাপনের ফলে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকেরা শ্রমিক রপ্তানি করতে পারছে না।

নিয়োগকর্তারাও বাংলাদেশের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। বাজার চালু রাখার স্বার্থে, অভিবাসী কর্মী ও রপ্তানিকারকদের হয়রানি বন্ধ করার জন্য পূর্বে নিয়মে বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়া জন্য আমরা সরকারের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। এর পাশাপাশি সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে দিয়ে প্রতিটি রুটে যৌক্তিক ভাড়া ও অভিবাসী কর্মীদের জন্য লেবার ফেয়ার চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলন বায়রার সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদসহ বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© All rights reserved
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট