আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেন গত সোমবার আবেগঘন পরিবেশের মধ্যে ২৫ বছরের কমবয়সী যুদ্ধবন্দিদের বিনিময় করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পরিকল্পিতি এক ধারাবাহিক বন্দি বিনিময়ের প্রথম ধাপ যা যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বিনিময় হয়ে উঠতে পারে।
খবরে বলা হয়, তুরস্কে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা অসুস্থ ও গুরুতর আহত যুদ্ধবন্দিদের একটি বিনিময় সম্পন্ন করেছে। কতজন বন্দি এই বিনিময়ে অংশ নিয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
এর আগের দিন, ২৫ বছরের নিচে বয়সীদের নিয়ে প্রথম ধাপের বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেন, আজ আমাদের গুরুতর আহত ও অসুস্থ সেনাদের রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে ফেরানোর প্রথম ধাপ শুরু হলো। তাদের প্রত্যেকেরই অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক পদক্ষেপ।
তিনি জানান, এ ধরনের বিনিময় প্রক্রিয়া আরও চলবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সব বন্দিকে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
একটি সরকারি ভিডিওতে দেখা যায়, ইউক্রেনের পতাকা কিংবা তাদের নিজ নিজ ইউনিটের পতাকায় মোড়ানো বন্দিরা বাস থেকে নামছে এবং অনেকেই ‘গৌরব ইউক্রেনের’ স্লোগান দিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, মুক্তিপ্রাপ্ত অধিকাংশ সেনা গুরুতর আঘাত, সংক্রমণ, অঙ্গচ্ছেদ এবং ট্রমার শিকার। নিরাপত্তার কারণে বিনিময় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই মুক্তিপ্রাপ্তদের সঠিক সংখ্যা জানানো হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুশ বন্দিদের বেলারুশে নেওয়া হয়েছে—যে দেশটি উভয় যুদ্ধে জড়িত দেশের সীমানায় অবস্থিত—সেখান থেকে তাদের রাশিয়ায় ফিরিয়ে এনে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
তুরস্কে দীর্ঘ তিন বছর পর আবার শুরু হওয়া শান্তি আলোচনায় এখন পর্যন্ত একমাত্র দৃশ্যমান অগ্রগতি হলো এই বন্দি বিনিময়। গত মাসেও দুই পক্ষ হাজার হাজার বন্দিকে বিনিময় করে—যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় বিনিময় এটি।
গত সপ্তাহের আলোচনায় উভয় পক্ষ মৃত সেনাদের মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, তবে এ প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
Leave a Reply