রোববার সকালে কড়া পুলিশ পাহারায় তাকে নোয়াখালী পাঠানো হয়। নোয়াখালী পুলিশ তাকে ৫ আগস্টের সোনাইমুড়ী থানায় সংঘটিত ঘটনার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে খুব গোপনীয়তার মাধ্যমে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চালান করেন।
এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর তার আইনজীবীরা কারাগারে তার ডিভিশনের আবেদন করলে আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে জেল কোড অনুযায়ী তাকে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে মো. আসিফ, তাকবির হোসেন, মো. ইয়াসিন, হাসান ও ইয়াসিন নামে ৫ ব্যক্তি মারা যান। এ সময় জনতা আরও উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়ে থানা ভাঙচুর করে এবং ১ এসআই ও ১ কনস্টেবলকে পিটিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানার মিরালীপুর গ্রামের বিএনপি নেতা বাদী হয়ে নোয়াখালী সদর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও চাটখিল আসনের এমপি এএইচএম ইব্রাহীমসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২-৩ হাজার লোককে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Leave a Reply