জমে উঠেছে আইপিএলের প্লে-অফের লড়াই। চলমান আসরে দারুণ ছন্দে আছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে তারা। এ ছাড়া সেরা তিনে আছে মুম্বাই ও গুজরাট। এখনো আনুষ্ঠানিক বিদায় না নিলেও কার্যত প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ৪৮টি ম্যাচ হয়েছে। বাকি আর ২২টি ম্যাচ। এখনও প্লে-অফে ওঠার সুযোগ রয়েছে ১০ দলেরই। কয়েকটি দলের সুযোগ অনেকটা বেশি। কারও কারও সুযোগ কম থাকলেও কাগজে-কলমে তারাও উঠতে পারে প্লে-অফে।
১০ ম্যাচ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিরাট কোহলিরা। বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে দু’টি জিততে পারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। তবে কোহলিদের সুযোগ রয়েছে প্রথম দু’টি দলের মধ্যে শেষ করার। তার জন্য তিনটি ম্যাচ জিততে হবে বেঙ্গালুরুকে। ১৬ পয়েন্টে শেষ করলেও প্লে-ওফে ওঠার সুযোগ থাকবে কোহলিদের।
১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শেষ পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে হার্দিক পান্ডিয়ারা। বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত তাদের। মুম্বাই যদি তাদের বাকি চারটি ম্যাচই জেতে তাহলে প্রথম দুই দলের মধ্যেও শেষ করতে পারে তারা। বাকি চারটির মধ্যে দু’টি জিতলেও প্লে-অফে ওঠার সুযোগ থাকবে মুম্বাইয়ের।
৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তিনে আছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথম দুই দলের থেকে একটি ম্যাচ কম খেলেছে শুভমান গিলরা। বাকি পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতলেই প্লে-অফে উঠে যাবে গুজরাট। দু’টি জিতলেও সুযোগ থাকবে শুভমানদের। অন্তত চারটি জিতলে প্রথম দুই দলের মধ্যে থাকবে গুজরাট। হাতে এক ম্যাচ বেশি থাকায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে শেষ করার সুযোগ সবচেয়ে বেশি তাদের।
১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় চারে দিল্লি ক্যাপিটালস। পরপর দু’ম্যাচ হারলেও দিল্লি এখনও ভালো জায়গায় রয়েছে। বাকি চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতলেই প্লে-অফে উঠবে তারা। দু’টি জিতলেও সুযোগ থাকবে প্লে-অফের। যদি বাকি চারটি ম্যাচই দিল্লি জেতে তাহলে প্রথম দুই দলের মধ্যে শেষ করার সুযোগও তাদের আছে।
৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পাঁচে আছে পাঞ্জাব কিংস। শ্রেয়াস আয়ারদের বাকি আরও পাঁচটি ম্যাচ। তার মধ্যে চারটি জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত শ্রেয়াসদের। তিনটি জিতলেও প্রথম চার দলের মধ্যে শেষ করার সুযোগ থাকবে পাঞ্জাবের।
১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। চারটি ম্যাচ বাকি ঋষভ পান্তদের। তারা যদি সেই চারটি ম্যাচই জেতেন তাহলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে লখনৌয়ের। তিনটি ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফে ওঠার সুযোগ থাকবে।
১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের সাতে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। সর্বাধিক ১৭ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারে। তার জন্য বাকি চারটি ম্যাচই জিততে হবে তাদের। একমাত্র তখনই প্লে-অফে ওঠার সুযোগ থাকবে আজিঙ্কা রাহানেদের। একটি ম্যাচ হারলে তখন বাকি সব দলের ম্যাচের ওপর নির্ভর করতে হবে রাহানেদের।
১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে আছে রাজস্থান রয়্যালস। বাস্তবে সুযোগ কম থাকলেও খাতায়-কলমে এখনও প্লে-অফে ওঠার সুযোগ রয়েছে রাজস্থানের। তার জন্য বাকি চারটি ম্যাচই জিততে হবে তাদের। সে ক্ষেত্রে ১৪ পয়েন্টে শেষ করবে তারা। তারপরেও রাজস্থানকে বাকি সব দলের খেলার ওপর নির্ভর করতে হবে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয়ে আছে। রাজস্থান ও হায়দরাবাদের পয়েন্ট সমান হলেও হায়দরাবাদ এক ম্যাচ কম খেলেছে। অর্থাৎ, তাদের প্লে-অফে ওঠার সুযোগ বেশি। বাকি পাঁচটি ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্ট হবে তাদের। সে ক্ষেত্রে প্লে-অফে ওঠার সুযোগ থাকবে প্যাট কামিন্সদের। তবে একটি ম্যাচ হারলে অনেক জটিল অঙ্কের ওপর নির্ভর করতে হবে তাদের।
৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে চেন্নাই সুপার কিংস। বাস্তবে সবচেয়ে কম সুযোগ রয়েছে চেন্নাইয়ের। তবে খাতায়-কলমে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা এখনও আইপিএল থেকে বিদায় নেননি। বাকি পাঁচটি ম্যাচ জিতলে তারা ১৪ পয়েন্টে পৌঁছাবেন। তারপরে বাকি ন’টি দলের ওপর নির্ভর করতে হবে তাঁদের। সেই অঙ্ক বড় জটিল।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ সোহেল মিয়া সরকারি, সম্পাদক : শামীম, বার্তা সম্পাদক : ইসমত প্রধান উপদেষ্টা : মোঃ পিন্টু
ঠিকানা : ২২৪ / ১ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা-১০০০ মোবাইল : ০১৭৬৫৮৯৪১৭১